প্রকাশিত: Fri, Jun 9, 2023 11:01 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 3:12 AM

কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের ব্যাখ্যা

মাজহারুল ইসলাম: নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অর্থসম্পদ ও দানকর বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইউনূস সেন্টার। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের কর বিষয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকায় আলোচনা হচ্ছে যা অনভিপ্রেত এবং প্রকৃত তথ্যভিত্তিক নয়। সূত্র: দেশ রূপান্তর

শুক্রবার ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোর্শেদের পাঠানো বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে, যে টাকা নিয়ে কথা হচ্ছে, তার পুরোটাই ইউনূসের অর্জিত টাকা। তার উপার্জনের সূত্র প্রধানত- তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি লব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে আসা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ রয়েছে। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন

বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি ( ইউনূস) ভাবছিলেন এত টাকা দিয়ে তিনি কী করবেন? তিনি জীবনে কোনও সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনও সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি, শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে তিনি দু’টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করলেন। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইউনূস তার নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে তাকে কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রাতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম। প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে প্রফেসর ইউনূস ট্রাস্টের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেন। বিষয়টি মোটেই সত্য নয়। তার বিদেশ ভ্রমণের সকল ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয় প্রতি ভ্রমণে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাবার ব্যয়  আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। প্রফেসর ইউনূসের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও ব্যয় তার কোনও ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। কখনও কখনও তাকে নিয়ে যাবার জন্য প্রাইভেট বিমান পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে টাকা খরচের চিন্তা তাকে কখনও করতে হয় না। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব